নিহত সিয়াম
আমার সিয়ামরে কেন নিয়া আইলি আর এনে আইনা ডুবাইয়া মারলি । গতকাল বৃহস্পতিবার মাঝুখান মর্নিংসান স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা মিলে কালিয়াকৈরের মখস বিলে নৌকা ভ্রমণে আসেন। এক পর্যায়ে সন্ধা নেমে আসলে আনন্দ পার্কের পিছনে ১১ হাজার ভোল্টেজের ঝুলন্ত তারের সাথে চালক নৌকাটি লাগিয়ে দিলে এতে আগুন ধরে যায়। এসময় অনেকেই লাফিয়ে পারে গেলেও যেতে পারেননি সিয়াম(২০)। এরপর কালিয়াকৈর ফায়ার স্টেশন অফিসার রায়হানের নেতৃত্বে ডুবুরীরা উদ্বার অভিযান শুরু করে। দীর্ঘ ৬ ঘন্টার অভিযানের পর গতকাল বেলা ১২:০৫ মিনিটে লাশ উদ্বার সম্ভব হয়েছে। ঘটনাস্থলে মৃত সিয়ামের মামার সাথে কথা বলে জানা যায়, সিয়াম মৌচাক স্কাউট কলেজের ১ ম বর্ষের ছাত্র , তার বোন লিছা আক্তার (২২) মাঝুখান স্কুলের শিক্ষিকা । পিকনিকে ছোট ভাই হিসেবে সিয়ামকে নিয়ে আসে। লিছা আক্তারও সাঁতার জানতো না। তিনি জানান, পানিতে পড়ে গিয়ে বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করলে পারে থেকে সুমন (২০) নামের এক স্থানীয় যুবক গিয়ে লিছাকে উদ্বার করে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন যাবত পল্লী বিদ্যুৎ এ অভিযোগ জানানোর পরও ঝুলন্ত তারগুলো উপরে উঠানো হয়নি। এই মৃত্যু পল্লী বিদ্যুৎ’র অবহেলার কারণেই । তাই এর দায়ভার পল্লী বিদ্যুতকেই নিতে হবে, স্থানীয়রা আরো বলেন দ্রুত যেন এটি সমাধান করেন আর যেন কোন মায়ের বুক খালি না হয়।
এই বিষয়ে প্রভাত প্রতিনিধি জুয়েল রানা পল্লী বিদ্যুৎ এর দায়িত্বপ্রাপ্ত ডি.জি.এম কামাল হোসেনের সাথে মুঠোফোনে কথা বললে সে ব্যস্ততা দেখিয়ে পরে ফোন দিবে বলে রেখে দেয়।ন।