বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪ , ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

Dainik Provat

দশমিনায় প্রধান ২টি নদীতে চাপিলা ইলিশ নিধনের মহাযজ্ঞ

গ্রাম-বাংলা

প্রভাত সংবাদদাতা, দশমিনা

প্রকাশিত: ১৩:১৮, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩

সর্বশেষ

দশমিনায় প্রধান ২টি নদীতে চাপিলা ইলিশ নিধনের মহাযজ্ঞ

দশমিনা(পটুয়াখালী)ঃ উপজেলার প্রধান ২টি নদীতে জেলেরা বেড়জাল দিয়ে অবাধে চাপিলা ইলিশ নিধনের মহাযজ্ঞ চলছে ----- প্রভাত

 

 

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার প্রধান ২টি নদী তেঁতুলিয়া ও বুড়াগৌরাঙ্গ নদীতে জেলেরা বেড়জাল দিয়ে অবাধে চাপিলা ইলিশ নিধনের মহাযজ্ঞ চলছে। নদীর শাসনে থাকা নৌ পুলিশ ও উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর দায়িত্বে থাকলে মাঝে মধ্যে তাদের অভিযান আশানুরূপ নয়। জানা যায়,মা ইলিশ মাছ প্রজননের সময়কাল শেষ হবার পর নদীতে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। কিন্তু উপজেলার তেঁতুলিয়া ও বুড়াগৌরাঙ্গ নদীতে বেড় এবং কারেন্ট জাল দিয়ে অহরহ ছোট-বড় মাছ নিধন চলছে।
নদী থেকে অসাধু জেলেরা জাটকাসহ চাপিলা ইলিশের পোনা শিকার করছে। উপজেলা সদরের বাজার,আউলিয়াপুর,গছানী,আরজবেগীসহ গ্রামাঞ্চলের বিভিন্ন বাজারে অবাধে চাপিলা ও জাটকা ইলিশ প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া উপজেলার বাঁশবাড়িয়া, গোলখালী, আউলিয়াপুর,চরযূর্নি,ঢনঢনিয়া,কেদিরহাটের বিভিন্ন মৎস্য আড়তে
চাপিলা ও জাটকা ইলিশ সংরক্ষন করছে। উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তরের সঠিক তদারকি না থাকা এবং যথাসময়ে নৌ পুলিশের অভিযান পরিচালনা না করায় অসাধু জেলে ও আড়তদাররা পোনা নিধনে মেতে উঠেছে। উপজেলার চরবোরহান ইউনিয়নের বেড়াজার মালিক সাইফুল বলেন,এই জাল অবৈধ তা আমরা জানি। এই চর এলাকায় মাছ ধরতে কোন সমস্যা হয় না। দশমিনা সদরের গোলখালী গ্রামে প্রকাশ্রে কারেন্ট জাল বিক্রি করা হয়।
এই বিষয়ে নৌ পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক আল মামুন জানান,নদীতে আমরা প্রত্যেক দিন অভিযান পরিচালনা করি। অভিযানকালে কোন কারেন্ট জাল পাওয়া যায় না। চরবেড়া জাল দিয়ে লক্ষ লক্ষ মাছের পোনা নষ্ট করা হচ্ছে। এই ব্যাপারে তার জানা নাই তবে খবর পেলে
অভিযান পরিচালনা করা হবে।

 

সর্বশেষ

জনপ্রিয়