বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪ , ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

Dainik Provat

সজীব ওয়াজেদ জয়কে ‘অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্রের’ মামলা

শফিক রেহমানসহ পাঁচজনের ৭ বছর জেল

আইন আদালত

প্রভাত রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২০:৩৬, ১৭ আগস্ট ২০২৩

আপডেট: ২১:২৫, ১৭ আগস্ট ২০২৩

সর্বশেষ

শফিক রেহমানসহ পাঁচজনের ৭ বছর জেল

ফাইল ছবি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে ‘অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্রের’ মামলায় সাংবাদিক শফিক রেহমান ও দৈনিক আমার দেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানসহ পাঁচজনের ৭ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।  

একইসঙ্গে তাদের ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাস কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূর এ রায় দেন।

শফিক রেহমান ও মাহমুদুর রহমান ছাড়াও এ মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত বাকি ৩ আসামি হলেন- জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুন, তার ছেলে রিজভী আহাম্মেদ ওরফে সিজার এবং যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ভূঁইয়া।

রায়ে অপহরণের চেষ্টার অভিযোগে ৫ বছর ও হত্যাচেষ্টা অভিযোগে দুই বছর কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয় এবং ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে এক মাস কারাদণ্ড দেওয়া হয়।  

দুটি অভিযোগের সাজা একত্রে চলবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়। তাই তাদের সর্বোচ্চ ৫ বছর দণ্ড ভোগ করতে হবে।

রায়ের সময় আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে সাজাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

এই মামলায় গত বছর ১৩ নভেম্বর সজীব ওয়াজেদ জয় আদালতে সাক্ষ্য দেন।  

২০১৫ সালের ৩ আগস্ট পল্টন থানায় এ মামলা করেন গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক ফজলুর রহমান।  

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরের আগে যেকোনো সময় থেকে এ পর্যন্ত বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাসের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনসহ বিএনপি ও বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটভুক্ত অন্যান্য দলের উচ্চপর্যায়ের নেতারা রাজধানীর পল্টনের জাসাস কার্যালয়ে, যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার আসামিরা একত্রিত হয়ে যোগসাজশে প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ও তার প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে আমেরিকায় অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্র করেন।

২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি সাংবাদিক শফিক রেহমানসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। ২০১৬ সালের ১৬ এপ্রিল এই মামলায় শফিক রেহমান গ্রেপ্তার হন। পরে তিনি জামিনে মুক্তি পেয়ে পলাতক হন। 

জা. ই

সর্বশেষ

জনপ্রিয়