বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪ , ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

Dainik Provat

গুরবাজকে বিদায় করে দারুণ সূচনা বাংলাদেশের  

খেলাধুলা

খেলাধুলা প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২০:৪৩, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

সর্বশেষ

গুরবাজকে বিদায় করে দারুণ সূচনা বাংলাদেশের   

টাইগারদের উচ্ছ্বাস

আগে ব্যাট করে বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে বাংলাদেশ। রেকর্ড গড়ে জিততে হবে আফগানিস্তানকে।
কিন্তু জবাব দিতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খেয়েছে তারা। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই আফগানদের ইন-ফর্ম ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজকে বিদায় করেছেন বাংলাদেশের পেসার শরিফুল ইসলাম।  
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে টাইগার পেসার তাসকিন আহমেদের করা ইনিংসের প্রথম ওভারে মাত্র ১ রান তুলতে পারেন দুই আফগান ওপেনার। পরের ওভারেই আঘাত হানেন শরিফুল ইসলাম। ওভারের দ্বিতীয় বলেই গুরবাজের প্যাডে বল লাগলে আবেদন করে বাংলাদেশ। আম্পায়ার সাড়া না দিলে রিভিও নেননি টাইগার দলপতি সাকিব আল হাসান। কিন্তু রিপ্লেতে দেখা যায় রিভিও নিলে আউট হতেন গুরবাজ। তবে দুই বল পরে তাকে ফিরতে হয় লেগ বিফোর হয়েই।

বাংলাদেশের ছুড়ে দেওয়া ৩৩৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৪.১ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ১২ রান সংগ্রহ করেছে আফগানিস্তান।  

এশিয়া কাপের প্রথম রাউন্ডে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাঁচা-মরার লড়াইয়ে আজ লাহোরে ৩৩৪ রানের পাহাড় গড়েছে বাংলাদেশ। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে মেহেদী হাসান মিরাজ ও নাজমুল হোসেন শান্তর জোড়া সেঞ্চুরিতে এই রান করেছে তারা।  

টস জিতে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পাঁচ উইকেট হেরে যাওয়ার ম্যাচের একাদশে আসে তিন পরিবর্তন। বদলে যায় উদ্বোধনী জুটিও। আগের ম্যাচে অভিষিক্ত তানজিদ হাসান তামিম ছিলেন না একাদশেই, নাঈম শেখ নামেন মিরাজকে নিয়ে। ফজল হক ফারুকী এতদিন বাংলাদেশের টপ-অর্ডারদের জন্য বিভীষিকা হয়ে থাকলেও এ ম্যাচে শুরু থেকেই স্বাচ্ছন্দ্য খুঁজে পাননি তিনি।  

ফারুকীর করা প্রথম ওভারেই আসে ১৪ রান। রানের গতি পাওয়ার প্লে জুড়েই ছিল ওভার প্রতি ছয়ের ঘরে। দশম ওভারের শেষ বলে এসে নাঈম শেখ বোল্ড হন মুজিব উর রহমানের বলে, তখন বাংলাদেশের রান ৬০। ৫ চারে ৩২ বলে ২৮ রান করেন নাঈম। ব্যাটিং অর্ডারে পরিবর্তন আসে এরপরও।  

তিনে খেলতে পাঠানো হয় তাওহীদ হৃদয়কে, এ জায়গায় থিতু হওয়া শান্তর বদলে। হৃদয় অবশ্য ফেরেন নিজের দ্বিতীয় বলেই, অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে ক্যাচ দেন প্রথম স্লিপে দাঁড়ানো ইব্রাহিম জাদরানের হাতে। হুট করে দুই উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ।  

এরপর রানের গতিটাও কিছুটা কমে আসে। ১০-২০ ওভারে আসে কেবল ৪৮ রান। মিরাজ বেশিই ডট বল খেলছিলেন। এক সময় ৪৬ বলে তার রান ছিল ২৮। কিন্তু এই ব্যাটার ছিলেন প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। সময়ের সঙ্গে হাত খুলেছেন তিনি। মাঝে ফজল হক ফারুকীর ৩৩তম ওভারে ১৭ রান নেন শান্ত।  

ক্রমেই বড় হতে থাকে মিরাজের সঙ্গে তার জুটি। দুজন হাঁটেন সেঞ্চুরির দিকেও। ৪৪তম ওভারের চতুর্থ বলে গুলবাদিন নাঈবের বলে সিঙ্গেলস নিয়ে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন মিরাজ, ১১৫তম বলে। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি পাওয়ার পর ড্রেসিংরুমের দিকে ছুটে গিয়ে নিজের জার্সি নম্বর দেখান তিনি।  

মিরাজ অবশ্য সাজঘরে ফেরেন আউট না হয়েই। ৪৩তম ওভারের প্রথম বলে মুজিব উর রহমানকে ছক্কা মারেন তিনি, তখনই ব্যথা পান হাতে। তার জায়গায় উইকেটে আসেন মুশফিকুর রহিম। নট আউট থেকে ক্রিজ ছাড়া মিরাজ ১১৯ বলে ৭ চার ও ৩ ছক্কায় ১১২ রান করেন। মিরাজ উঠে যাওয়ার দুই বল পরই সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন শান্তও। ওয়ানডেতে পঞ্চমবারের মতো একই মাচে জোড়া সেঞ্চুরি দেখে বাংলাদেশ।

২০১৫ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিম সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন। ২০১৭ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স  ট্রফিতে সেঞ্চুরি তোলেন সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ২০১৮ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ইমরুল কায়েস ও সৌম্য সরকার তিন অঙ্কের মাইফলক স্পর্শ করেন। ২০২০ সালে তামিম ইকবাল ও লিটন দাস একই ম্যাচে পেয়েছিলেন সেঞ্চুরি।

শান্তও তার সেঞ্চুরি ছুয়ে বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে রান আউট হওয়ার আগে ৯ চার ও ২ ছক্কায় ১০৫ বলে ১০৪ রান করেন তিনি। তবে দুই সেঞ্চুরিয়ানের বিদায়ের পরও দারুণভাবে ইনিংস টানে বাংলাদেশ। ১ চার ও ছক্কায় ১৫ বলে ২৫ রান করে মুশফিকুর রহিম রান আউট হলেও ৪ চার ও ১ ছক্কায় ১৮ বলে ৩২ রান করেন সাকিব।  

অভিষিক্ত শামীম হোসেন নিজের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম বলেই হাঁকান ছক্কা। ৬ বলে ১১ রান করা এই ব্যাটারও হন রান আউট। তবে বাংলাদেশের রান তিনশ ছাড়িয়েও যায় অনেক দূর। ৬ ওভার করা ফারুকী ৫৩ রান ও রশিধ খান ১০ ওভারে ৬৬ রান দিয়ে থাকেন অপরাজিত। আফগানদের পক্ষে দুটি উইকেট নেন মুজিব ও গুলবাদিন নায়িব। 

সর্বশেষ

জনপ্রিয়